বর্তমানে খুলনার সামছুর রহমান রোডের অধিবাসী। জন্ম ১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর চাঁনমারী মাস্টারপাড়া, শিপইয়ার্ডে। পিতা মৃত শামসুল হক ও মাতা আমিরুন নেসা । ১৯৭১ সালে খুলনা সরকারি আযমখান কমার্স কলেজের আই কম এর ছাত্র ছিলেন। পরবতীতে স্নাতক পাস করেন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি বড়।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ৭১ সালের মার্চ মাসে হাজী মহসীন রোডে জোয়ার্দ্দার রসুল বাবু, মনিরুজ্জামান মনি (পরবর্তীতে খুলনার মেয়র), মো. আবু জাফর (পরবর্তীতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার), ইকবাল কবির ডালিম, মন্নু ও আনু একত্রিত হয়ে পুলিশ লাইন অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। ৪ এপ্রিল গল্লামারীস্থ রেডিও সেন্টার দখলের যুদ্ধে অংশ নেন। পাকসেনাদের তৎপরতা শুরু হলে নিজ গ্রামে ফিরে যান। যুদ্ধ প্রত্যাশী কয়েকজন যুবককে নিয়ে বনগাঁ সীমান্ত পার হয়ে টালিখোলা ইউথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে কয়েকদিন টাকি ইউথ ক্যাম্পে অবস্থান গ্রহণ করেন। বিএলএফ এর প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে দেরাদুন মিলিটারি একাডেমি টা-ুয়ায় প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় হাজী মহসীন রোডের জোয়ার্দ্দার রসুল বাবু, মনিরুজ্জামান মনি ও আবু জাফরের সাথে দেখা হয়।
৭১ সালের সেপ্টেম্বরে সপ্তম কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে আসেন। এ সময় প্রশিক্ষণার্থী মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন মনসুর আহমেদ (সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান), দেবহাটার পারুলিয়ার শেখ মাবুদ আলী ও আশরাফ হোসেন। দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মাগুরা মহাকুমার বুনাগাতি বাজারে রাজাকার ক্যাম্প দখলের যুদ্ধে অংশ নেন। নওয়াপাড়ায় মিত্রবাহিনীর সাথে অবস্থান ও শিরোমণি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ফুলবাড়ি গেটে পাকিস্তানী সেনাদের আত্মসমর্পন করার সময় তিনি মিত্রবাহিনীকে সহায়তা করেন।
যুদ্ধ শেষে শিক্ষাজীবনে ফিরে যান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বিএ পাশ করে সোনালী ব্যাংকে যোগ দেন। ২০১২ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে অবসর নেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
খুলনা গেজেট/এএজে